আমাদের দেশের বেশির ভাগ পুরুষ ই স্ত্রী মিলন বা সহবাসের সঠিক পদ্ধতি জানেন না বা অবলম্বন করেন না। মনে রাখবেন, যৌন মিলনের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই তৃপ্ত হওয়া আবশ্যক। বেশীরভাগ পুরুষ ই স্ত্রীর তৃপ্ত হওয়ার বিষয়টা মোটেই গুরুত্ব দেন না, এতে করে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে অনেক জটিলতা তৈরি হয়, অনেক সম্পর্কেরই শেষ পরিণতি হয় ডিভোর্স। আপনার স্ত্রী কে শুধুমাত্র আপনার যৌন চাহিদা মেটানোর বস্তু মনে করবেন না। মনে রাখবেন আপনার যেমন জৈবিক চাহিদা রয়েছে তেমনি আপনার স্ত্রীর ও একই চাহিদা রয়েছে, এটা মহান আল্লাহ প্রদত্ত।
আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন সে যেন পরিপূর্ণভাবে (সহবাস) করে। আর তার যখন চাহিদা পূরণ হয়ে যায় (শুক্রস্খলন হয়) অথচ স্ত্রীর চাহিদা অপূর্ণ থাকে, তখন সে যেন তাড়াহুড়া না করে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-১০৪৬৮]
ইমাম দাইলামি(রহ.) আনাস বিন মালিক(রা.) এর বরাতে একটি হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন যে: রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, “কেউ যেন পশুর মতো তার স্ত্রী হতে নিজের যৌন চাহিদাকে পূরণ না করে, বরং তাদের মধ্যে চুম্বন এবং কথাবার্তার দ্বারা শৃঙ্গার হওয়া উচিত।” [দাইলামি’র মুসনাদ আল-ফিরদাউস, ২/৫৫]
ইমাম ইবনুল কাউয়্যিম(রহ.) তাঁর বিখ্যাত ‘তিব্বে নববী’তে উল্লেখ করেছেন যে: রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শৃঙ্গার করার আগে সঙ্গম করতে নিষেধ করেছেন। [দেখুন: ‘তিব্বে নববী’, ১৮৩, জাবির বিন আবদুল্লাহ হতে]
একটি সুখময় ও আনন্দদায়ক যৌন সঙ্গমের জন্য শুধুমাত্র শারীরিক সক্ষমতা নয়, আবেগ-ভালোবাসা-প্রেম অতীব গুরুত্বপূর্ণ।